খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুড়ি বিক্রেতা থেকে স্বর্ণ চোরাকারবারী আবু আহাম্মদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ
মুড়ি বিক্রেতা থেকে স্বর্ণ চোরাকারবারী আবু আহাম্মদ

মুড়ি বিক্রেতা থেকে স্বর্ণ চোরাকারবারী করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন আবু আহাম্মদ ওরফে সোনা আবু। হুন্ডি ব্যবসায়ী ও স্বর্ণ চোরাকারবারী আবু আহাম্মদের সম্পদ অনুসন্ধান করে অবৈধভাবে প্রচুর সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ বিষয়ে সম্প্রতি আদালতে একটি চার্জশিট দিয়েছিল সিআইডি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আবু আহাম্মদ ফটিকছড়ির জাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা ফয়েজের ছেলে। এক সময় তার পিতার সিগারেটের দোকান ছিল। এরপর তিনি গ্রামে মুড়ি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। একপর্যায়ে দুবাইয়ে চলে যান তিনি। এরপর স্বর্ণ চোরাচালান ও অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ে জড়িয়ে পরেন।

নাম প্রকাশ না করে মামলার তদন্ত তদারকী সংস্থার পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এতে অবৈধভাবে অর্জিত ৭২১ কোটি ১৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে মোট ২১ জনেকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি চট্রগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের বাহার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে তিনটি সিন্দুক থেকে ২৫০টি স্বর্ণবার ও ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আবু আহাম্মদ ও এনামুল হককে আসামি করে স্বর্ণ চোরাচালান মামলা দায়ের করে পুলিশ। সে বছর ২৮ জুন স্বর্ণ চোরাচালানের এ মামলায় আবু আহম্মদসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় ডিবি পুলিশ।

এরপর তাদের অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। পরে ২০২০ সালের মার্চে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। অভিযুক্তরা হলেন- আবু আহাম্মদ, ইকবাল মোহাম্মদ, আবু রাশেদ, এসএম আসিফুর রহমান, মো. ওবায়েদুল আকবর, মো. রফিক, মোহাম্মদ জিয়া বাবলু, ইমরানুল হক মো. কপিল চৌধুরী, এমতিয়াজ হোসেন, মোহাম্মদ আলী, ফরিদুল আলম, মোহাম্মদ এরশাদল আলম, মো. হাসান, রুবেল চক্রবর্তী, মো. মিনহাজ উদ্দিন, সাগর মহাজন, দিনবন্ধু সরকার, মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মো. শাহজাহান, টিটু ধর। পরে তদন্তে খোরশেদ আলম নামের আরও একজনের সংশ্লিষ্টতা পায় সিআইডি।

জানা গেছে, আবু আহাম্মদ হুন্ডি ব্যবসার জন্য নিজের নামে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ২১ টি ব্যাংক হিসাব খোলেন। এরমধ্যে রয়েছে- ফরহাদ ট্রেডিং, রিয়াল ট্রেডিং, নাইস টেলিকম সেন্টার, রুপা টেলিকমিউনিকেশন, রিয়েল ট্রেডিং, এমএস ওয়ার্ল্ড সেন্টার, ফরহাদ ট্রেডিং এবং এবি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযুক্তরা ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করেছেন।

অভিযুক্ত খোরশেদ আলম সৌদি আরব থেকে দেশে টাকা পাঠাতে চায় এমন প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন। তার ছোট ভাই ফরিদুল আলম, আবু আহাম্মদের কাছ থেকে চেক নিয়ে টাকা উত্তোলণ করে খোরশেদ আলমের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে থাকা প্রবাসীদের আত্মীয়দের কাছে পৌছে দিতেন। আবু আহাম্মদ এভাবে খোরশেদ আলমের মতো অজ্ঞাতানামা একাধিক ব্যক্তিকে তার এই হুন্ডি ব্যবসায় যুক্ত করেছিলেন।

এভাবে প্রবাসীদের টাকা রেমিটেন্স হিসেবে দেশে না পাঠিয়ে বিদেশে রেখে সেই টাকা অবৈধ স্বর্ণ চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করেছে। অর্থপাচার আইনে করা মামলার তদন্ত করেছেন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেক আলী।

অভিযুক্ত আবু আহাম্মদ দেশি বিদেশি মুদ্রা পাচার, স্বর্ণ চোরাচালান ও অন্যন্য চোরাই দ্রব্যের ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তিনি চট্রগ্রাম শহর ও ফটিকছড়িতে একাধিক ভবন ও মূল্যবান জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রামের কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকায় ৩৩ নম্বর প্লটে প্রায় ১৬ কাঠা জমির ওপর বাড়ি, পাঁচলাইশ হিলভিউ আবাসিক এলাকায় ছয়তলা ভবন, ফতেহনগর রাউজানে পল্লী কাকন ও পল্লী শোভা ম্যানশন নামে বাড়ি আছে তার। অবৈধ টাকায় দুবাইয়ে ৩ টি দোকান রয়েছে বলেও জানা গেছে।

এছাড়া আবু আহাম্মদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিমানবন্দর থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা রয়েছে। এ মামলায় ১০৫.৪০ কেজি ওজনের ৯০৪টি স্বর্ণের বার ও ৪৭ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকার উদ্ধারের তথ্য রয়েছে। ডিএমপির পল্টন থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের অন্য একটি মামলায় ৬১.৫৩৮ কেজি ওজনের ৫২৮ টি স্বর্ণ বার ও ৩ কোটি ৫৮ হাজার সৌদি রিয়েল, ৫ কোটি ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধারের তথ্য রয়েছে।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও নগদ অর্থ জব্দের পর সে মামলায় আবু আহাম্মদকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তিনি তথ্য গোপন করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে একই বছরের আগস্টে কারাগার থেকে বের হন। তারপর হাইকোর্টের দুই বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে স্বর্ণ চোরাচালান মামলার কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়ে একটি পিটিশন তৈরি করেন। সেটি ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের ফৌজদারি শাখায় প্রেরণ করা হয়। পরে তা বিচারিক আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। জালিয়াতির এ ঘটনাটি ধরা পড়ার পর হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ২০১৬ সালের নভেম্বরে আবু আহাম্মদসহ জড়িত আরও দুইজনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানান সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের এক কর্মকর্তা।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।