আন্দোলনের ডাক দিয়ে মির্জা ফখরুল হাসপাতালে কেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন হলে তারা শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না। ভোটে হেরে যাবে। তাদের তো খাই খাই ভাব। সেজন্য তারা মাঠ থেকে বেরিয়ে গেছে। মির্জা ফখরুল এখন হাসপাতালে অসুস্থ- এই অসুস্থতা কী রাজনৈতিক অসুস্থতা নয়? কেন হঠাৎ আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে হাসপাতালে। অসুস্থ রাজনীতি করতে করতে ফখরুল সাহেবরা অসুস্থ হয়ে গেছে। তবে আমরা ক্ষমতায় আছি, শান্তি চাই। আন্দোলনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান আপনারা আজ পর্যন্ত নেন নাই। আমরা উসকানি দেবো না, আপনারা উসকানি দিচ্ছেন। এই উসকানিমূলক তৎপরতা বন্ধ করুন। তা না হলে দেশের জনগণ আপনাদের প্রতিরোধ করবে।’
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিনে শত সেতুর উদ্বোধন করেছেন। নরসিংদীতে একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ফলক তারা (বিএনপি) ভাঙচুর করে উঠিয়ে ফেলে দিয়েছে। তারা (বিএনপি) নাশকতার উসকানি দিচ্ছে। আমরা চুপ করে বসে থাকবো, ললিপপ খাবো? জবাব দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এই দেশে কারও সহিংস আন্দোলনের জন্য সাধারণ মানুষের মালামালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দায়িত্ব আছে জনগণের জানমালে রক্ষার্থে সতর্ক অবস্থান নেওয়া। আমরা বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টিতে নেই। আমরা কোনও পাল্টাপাল্টি করছি না। ১০ জানুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় সভা, ১১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ করেছে। আমরা শান্তির সমাবেশ করেছি। তারা উসকানি দিচ্ছে সংঘাতের, সহিংসতার ও ভাঙচুরের। তারা তারা পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাদের এই হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার উপযুক্ত জবাব আমাদের দিতে হবে। তারা নিজেরা কিছু করতে পারেনি, এখন শেখ হাসিনার উন্নয়ন কাজ দেখে তাদের অন্তর জ্বালা শুরু হয়েছে।’
গভীর ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করে তিনি বলেন, ‘দেশ সত্যি গভীর ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হচ্ছে। আমাদের দেশ আবারও সাম্প্রদায়িকতার ছোবলে আক্রান্ত। এ দেশে জঙ্গিবাদের সূত্রপাত কারা করেছে, তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা আবারও আক্রান্ত হচ্ছি। এখানে রাজনীতির পাশাপাশি সংস্কৃতির একটি দায়িত্ব আছে। এসব জঙ্গিবাদ সংস্কৃতির চিরায়ত শত্রু। এরা আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। এরা মুক্তিযুদ্ধের দুশমন। এদের হৃদয়ে বাংলাদেশ নেই। এসব অপশক্তিকে যেকোনও মূল্যে রুখতে হবে। শেখ হাসিনাই আমাদের আসল ঠিকানা। তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। অপশক্তি দূর করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিম, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী মোহাম্মদ আবুল হাশেম খান, নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ্-আল-কায়সার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই মেলার কার্যক্রম চলবে। শুধু প্রবেশ ফি দিয়ে মেলায় ঘুরতে পারবেন দর্শনার্থী ও ক্রেতারা। ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাসব্যাপী এ মেলা চলবে। হস্তশিল্প, জামদানি শাড়ি, পিঠা, দেশীয় ফলের স্টলসহ সব মিলিয়ে মোট ১০০ টি স্টল রয়েছে মেলায়।
আপনার মতামত লিখুন