খুঁজুন
বুধবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:৪০ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

টুর্নামেন্ট শুরুর প্রথম দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আগেই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্স নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। সবশেষ আজ বুধবার বেনোনিত যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক জয় পূরণ করল বাংলাদেশের মেয়েরা। শেষ ম্যাচে এদিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া স্বল্প লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২১ রানেই বিদায় নেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার আফিয়া প্রত্যাশা ও সুমাইয়া আক্তার। সাময়িক বিপর্যয় বেশ সামাল দেন স্বর্ণা আক্তার এবং দিলারা আক্তার। স্বর্ণা ২২ রানে ও দিলারা ১৭ করে বিদায় নেন। এই দুই ব্যাটার টানা বিদায় নিলে আবারো চাপে পড়ে বাংলাদেশ দল।

তবে দিলারা বিশ্বাস (১০) ও পরে মিষ্টি সাহাকে নিয়ে বাকি পথে নিরাপদেই পাড়ি দেন রাবেয়া। দুজনে অবিচ্ছিন্ন থেকে মাঠ ছাড়েন। ২৪ বলে ১৮* রান আসে রাবেয়ার ব্যাট থেকে। আর মিষ্টি অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে।

এর আগে টস হেরে বোলিংয়ে নেমে যুক্তরাষ্ট্রকে অল্প রানেই আটকে দেয় বাংলাদেশ। শুরুতেই লাসিয়া মুল্লাপুদিকে (৫) সাজঘরে ফেরান দিশা বিশ্বাস। এরপর ৫৭ রানের জুটি গড়েন দিশা ধিংগ্রা ও স্নিগ্ধা পল। তবে ৩৯ বলে ২০ রান করে রানআউট হন ধ্রিংলা। স্নিগ্ধা আউট হন ৩৭ বলে ২৬ রান করে।

ধ্রিংলা ও স্নিগ্ধার বিদায়ের পর গীতিকা কোদালি ও ইসানি ভাঘেলার জুটিতে একশ’ ছাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। শেষ বলে ১৬ রানে মারুফা আক্তারের শিকার হন অধিনায়ক গীতিকা। ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন ইসানি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

যুক্তরাষ্ট্র- ২০ ওভারে ১০৩/৪ (স্নিগ্ধা ২৬, ধিংগ্রা ২০; দিশা ১৩/২, মারুফা ১৭/১)
বাংলাদেশ- ১৭.৩ ওভারে ১০৪/৫ (স্বর্ণা ২২, রাবেয়া ১৮*; আদিতিবা ১৫/২)
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী

Feb2

ধর্মীয় সম্প্রীতির তথ্য জানতে মার্কিনিদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ণ
ধর্মীয় সম্প্রীতির তথ্য জানতে মার্কিনিদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ

বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির তথ্য জানতে মার্কিনিদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে বিপুল পরিমাণ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যার কিছু অংশ যুক্তরাষ্ট্রেও পৌঁছেছে এবং এটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স (ডি-মিশিগান) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টাকে সিনেটর পিটার্স জানান, তার নির্বাচনী এলাকায় বিশেষত ডেট্রয়ট শহরে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন। সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এসময় অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশে বিভিন্ন শহর ও গ্রামে ভ্রমণের আহ্বান জানান এবং অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের দেশ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান, যাতে ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানা যায়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। দয়া করে আপনার বন্ধুদের বাংলাদেশে ভ্রমণের পরামর্শ দিন। এভাবে আমরা এসব বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবো।

অধ্যাপক ইউনূস তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করা হবে।

তিনি জানান, গত বছরের আগস্টে পরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, ধর্মীয় কারণে নয়। তবে তার সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশে নির্বাচন প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। অতীতে আমরা যেমনটা দেখেছি তেমনি নির্বাচনের দিন বড় ধরনের উদযাপন হবে।

সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, প্রধান কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, যদি রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কারেই সম্মত হয়, তাহলে সরকার ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজন করবে। তবে দলগুলো যদি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে বড় ধরনের সংস্কার প্যাকেজ চায়, তাহলে সাধারণ নির্বাচন কয়েক মাস পরে অনুষ্ঠিত হবে।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত সংস্কারে সম্মত হলে তারা জুলাই চার্টারে স্বাক্ষর করবে। জুলাই চার্টার দেশটির ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণ করবে।

পিটার্স সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়া দুই নেতা সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্ষুদ্রঋণের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৬:৫৭ অপরাহ্ণ
বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা

সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

প্রথম পর্যায়ে আগামী বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেল ৩টায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দলসমূহের সঙ্গেও আলোচনার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন না। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। সব দলের সঙ্গে আলাদা আলোচনা শেষে সব দলকে একসঙ্গে নিয়ে আরেক দফা আলোচনা হবে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন।

সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মাতামত চেয়ে ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি ও ‘স্প্রেডশিট’ পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। ১৩ মার্চের মধ্যে তাদের মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ১৫টি দল তাদের মতামত জানিয়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল তাদের পূর্ণাঙ্গ মতামত আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জানাবে বলে কমিশনকে জানিয়েছে।

কমিশন আগেই জানিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাথমিক মতামত পাওয়ার পর দলগুলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা আলোচনা করা হবে। যারা ইতিমধ্যে মতামত দিয়েছেন, তাদের নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। এরপর যারা মতামত দেবেন, ক্রমান্বয়ে তাদের আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনা। এ লক্ষ্যে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই ছয়টি কমিশন তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এসব কমিশনের প্রধানদের নিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে সরকার।

শেখ হাসিনা ও রেহানার পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা জব্দ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনা ও রেহানার পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা জব্দ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, জয় ও পুতুলের ৩১টি ব্যাংক হিসাবের ৩৯৪ কোটি টাকা ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৩১টি ব্যাংক হিসাবের ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

আদালতে করা দুদকের আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৩১ হিসাবের অস্থাবর সম্পদগুলো অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব হিসাব অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অনুসন্ধান সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের অস্থাবর সম্পদ/সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন/স্থানান্তর বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করতে না পারেন এ মর্মে অবরুদ্ধকরণের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।