খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এদেশে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১০:৫১ অপরাহ্ণ
এদেশে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা নির্বাচন নিয়ে সমালোচনার জবাবে বলেছেন, নির্বাচন যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুষ্ঠু হয়, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, সেটাই এই নির্বাচনের (রংপুর সিটি নির্বাচন, ছয়টি উপ-নির্বাচনসহ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচন) মধ্যদিয়ে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এরপরে আর কেউ নির্বাচন নিয়ে কোন কথা উত্থাপন করার সুযোগ পাবে না। কারণ আমরা ক্ষমতায় থাকলেও মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য আমরাই সংগ্রাম করেছি। কাজেই সেই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব বলেই মনে করি। আর সেভাবেই এদেশে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সমাপনি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা শেষে স্পীকার প্রস্তাবটি ভোটে দিলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ পরবর্তী অনেক নির্বাচন আমরা দেখেছি। জিয়াউর রহমানের আমলে হ্যাঁ-না ভোট হয়েছে, না বাক্সে কোনো ভোট নেই, পাওয়া যায় না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দেখেছি- কিভাবে কারচুপি করা হয়েছে। জেনারেল এরশাদের আমলে ’৮৬ সালের নির্বাচনে আমরা অংশ নিয়েছিলাম। সেই নির্বাচনের ফলাফল ৪৮ ঘন্টা বন্ধ রেখে, জেনারেল এরশাদ নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করান, সেটাও আমরা দেখেছি। খালেদা জিয়া ২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী প্রহসেনের একতরফা ভোট করেছিলেন। কিন্ত ভোট চুরি করলে, দেশের মানুষ তাদের ছেড়ে দেয় নাই। ভোট চুরির অপরাধে দেশের জনগণ আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মাত্র দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য করেছিল। তারপরে নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা ক্ষমতায় আসলাম।

তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আবার একটা চক্রান্ত ছিল গ্যাস বিক্রী নিয়ে। কাজেই সেটা নিয়ে বিএনপি-জামাত জোট আসলো ক্ষমতায়। এসে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতিসহ নানারকম অপকর্ম করে, দেশে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করলো যে ইমার্জেন্সি এলো। সেই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করে, আমরা দেশে উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি।

শত বাধা ও প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে দেশের উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখতে সক্ষম হওয়ার কথা উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, নানা প্রতিকূলতা আমাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই তাঁর সরকার দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ আরও এগিয়ে যাক, সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি। একদিনে শত সড়ক, শত সেতু অতীতে কেউ কোনদিন উদ্বোধন করতে পেরেছে ? এটা আওয়ামী লীগ সরকার পেরেছে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে চ্যালেঞ্জ ছিল। নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের এই একটি সিদ্ধান্ত সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমরাও যে পারি, তা আমরা প্রমাণ করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলতেন- বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমিও বলি, বাংলাদেশকে আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। ২০২১ সালে আমরা রূপকল্প ঘোষণা করেছিলাম, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করেছি। এখন ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা গড়ে তুলবো স্মার্ট বাংলাদেশ। ইনশাল্লাহ সেই স্মার্ট বাংলাদেশও আমরা গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ৩০ লাখ পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর করে দিয়েছি, তাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আরও ৪০ হাজার ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। খবর নিচ্ছি- আর কেউ ভূমিহীন আছে কিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন বা ঠিকানাবিহীন থাকবে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের মানুষকে কথা দিয়েছিলাম- ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, আমরা তা গড়ে তুলেছি। একদম ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত আমরা ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দিয়েছি। মহামারী কোভিড-১৯ আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। অনেক উন্নত দেশও বিনামূল্যে ভ্যাকসিন বা করোনা টেস্ট করতে পারেনি, কিন্তু আমরা পেরেছি। সারাবিশ্বের মধ্যে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। করোনা মহামারী পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেণ যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঙ্কট মোকাবেলায় আমরা কৃষি উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ১৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ আছে। যুদ্ধের কারণে সারাদেশে মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গেছে। যত টাকাই লাগুক আমরা যেখান থেকে পারছি আমদানী করছি, যাতে দেশের কোন মানুষের কষ্ট না হয়, সঙ্কটে না পড়ে। টাকার দিকে তাকাচ্ছি না। কারণ আমাদের রাজনীতিই হচ্ছে দেশের মানুষের কল্যাণ করা।

প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এক সময় দেশের কোন উচ্চ পদে নারীর কোন পদ ছিল না। আমরা ক্ষমতায় এসে সশস্ত্রবাহিনী, বিচারবিভাগসহ সবস্থানে নারীর পদ নিশ্চিত করেছি। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি। দেশের প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের স্মার্ট করে গড়ে তুলতে পারে, সেই ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। অর্থনৈতিক চাপ সত্বেও আমরা বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই দিয়েছি, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা সহ প্রায় ২৪ লাখ প্রতিবন্দ্বীকে বিশেষ ভাতা দিয়ে যাচ্ছি। প্রায় আড়াই কোটি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, উপবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি।

’৭৫ পরবর্তী ক্যু-পাল্টা ক্যু এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পালাবদলের কথা উল্লেখ করে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিলেন। এরপর দেশে দীর্ঘদিন অবৈধ ক্ষমতা দখলের পালা চলেছে। ইতিহাসে মাত্র একটিবার ২০০১ সালে ক্ষমতার পাঁচ বছর পূর্ণ করে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলাম। এরপর কখনো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পালাবদল ঘটেনি।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বর্ণাঢ্য সফল রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, অত্যন্ত প্রাণবন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সংসদে শেষ ভাষণ দিয়ে গেছেন। কারণ আমাদের সংবিধানে রয়েছে কেউ দু’বারের বেশি রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারবেন না। সেই ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি। খুব অল্প বয়সে তিনি এই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সাতবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। বিরোধী দলে থাকতে তিনি (আবদুল হামিদ) সংসদ উপনেতা, পরে প্রথমে ডেপুটি স্পীকার, এরপর স্পীকার এবং পরবর্তীতে দুইবারের রাষ্ট্রপতি, সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন সফল। নিজের, সকল সংসদ সদস্য এবং দেশবাসীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক জীবনে তিনি অত্যন্ত সফল। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন। জাতির পিতার আহ্বানে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও রাষ্ট্রপতিকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। ডেপুটি স্পীকার ও স্পীকারের দায়িত্ব পালনের সময়ও তিনি সংসদকে সবসময় প্রাণবন্ত রাখতেন। এমনকি মনে হয়, বিরোধী দলের সদস্যদেরও তিনি সমর্থন পেয়েছেন। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে- রাষ্ট্রপতি পদ থেকে তিনি চলে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবেও তিনি (আবদুল হামিদ) অত্যন্ত সফল ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।