আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন, তাই ওদের কাউন্টার প্রোগ্রাম দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই: আমির খসরু

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন-আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই এখন তারা কাউন্টার প্রোগ্রাম দিচ্ছে, কাউন্টার প্রোগ্রাম দেওয়া ছাড়া তাদের বিকল্প নেই।
তিনি আজ বিকেলে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাবলমুরিং থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আগ্রাবাদ ১ মোড়ে অনুষ্ঠিত পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
খসরু আরো বলেন, দেশে আজ নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। মানুষ দুইবেলা খেতে পারছে না। মুরগি এখন চারভাগে ভাগ করে বিক্রি করা হচ্ছে, গরুর মাংস গ্রাম হিসাব করে বিক্রি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ অর্থনীতির লুটেরা যারা সম্পদ লুটপাট করেছে তারা বাদে দেশের প্রায় মানুষ কষ্টে আছে। আওয়ামী লীগ প্রায় সংবিধানের কথা বলে আমি তাদেরকে একটা কথা বলতে চাই সংবিধান কি গুম খুন করতে বলেছে, অর্থনীতি ধ্বংস করতে বলেছে, লুটপাট করতে বলেছে মানুষের মানবাধিকার ,ভোটাধিকার হরণ করতে বলেছে। সবকিছুতে তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মালিক হচ্ছে দেশের জনগণ,এই দেশের জনগণ চোরদের হাতে তাদের ভাগ্য তুলে দিতে পারে না। আওয়ামী লীগ বলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নাকি রাজনীতি করতে পারবে কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। মামার বাড়ির আবদার, মনে হচ্ছে দেশটা তাদের জমিদারি, যা বলবে তাই মানতে হবে। আওয়ামী লীগ যতগুলো ঘুম খুনের সাথে জাডিত সবগুলো যোগ করলে যতগুলো মামলা হবে নির্বাচন তো দূরের কথা তাদের নেতা-নেত্রীরা কেউ জেলের বাইরে থাকতে পারবে না। আজ জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন সহ বিভিন্ন দেশ তাদের লুটপাট , মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভোটাধিকার,লঙ্ঘনএর কার্যক্রম নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, আইএমএফ এর লোন নিয়ে তারা কি করছে তাও পর্যবেক্ষণ করছে। তারা যতই চেষ্টা করুক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। তাদেরকে বিদায় নিতে হবে, তাদেরকে বিদায় করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।
ডাবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ সেকান্দর হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়ার পরিচালনায সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, মহানগর বিএনপির সদস্য সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসেম, বিএনপি নেতা এডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, ডাবলমুরিং থানা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শামসুল আলম , মহানগর বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক, শহীদ মোহাম্মদ চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, মহিলা দলের নেত্রী ফাতেমা বাদশা ডাবলমুরিং থানা বিএনপিরসিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা দিদারুল আলম, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, ডাবলমুরিং থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুদ্দিন সোহেল, মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ সেলিম, মোঃ ইদ্রীছ, মোঃ সাবের, দক্ষিণ আগ্রাবাদ বিএনপির সভাপতি ফয়েজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল সরদার, উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড বিএনপি আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহসিন, দক্ষিণ পাঠানটুল সভাপতি জামাল উদ্দিন জসিম, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, ডাবল মুরিং থানা যুবদল সভাপতি বজল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি মোঃ আক্তার, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ সহ প্রমুখনেতৃবৃন্দ।
এদিকে পথযাত্রা শুরুর আগে ডবলমুরিং থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া মহল্লা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিযয়ে নেতাকর্মীরা চৌমুহনী মোডে জমায়েত হতে থাকে। একসময় চৌমুহনী সহ আশেপাশে এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। পরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে হাজার হাজার লোকের বিশাল মিছিল চৌমুহনী হয়ে হাজীপাড়া পানওলা পাড়াা ব্যাপারীপাড়ার মোড় হয়ে অ্যাক্সেস রোড হয়ে বড় পোল মোডে গিয়ে শেষ হয়। জনাব খসরু সেখানে থেকে আকবর শাহ থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পদযাত্রায় অংশ নেন ও সেখানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন। উক্ত সমাবেশে বিএনপি নেতা আয়ুব খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির ‘সদস্য মনজুর আলম চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি সহ নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন