খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আঃলীগ দেশের স্বাধীনতাকে নিজেদের মূলধন করে ফেলেছে: আমীর খসরু

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩, ১১:২৩ অপরাহ্ণ
আঃলীগ দেশের স্বাধীনতাকে নিজেদের মূলধন করে ফেলেছে: আমীর খসরু

স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট এদেশের মানুষ ভূলে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে এদেশের আপাময় জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। বাংলাদেশের রাজনীতি যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে স্বাধীনতা দিবসের গর্বিত দিনটিকে, গর্বিত কাজটিকে গর্হিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটটা আমরা ভূলে যাচ্ছি। এ প্রেক্ষাপটের মধ্যে মৌলানা ভাসানী, হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, কর্ণেল ওসমানি, জিয়াউর রহমান আছেন। আরো অনেকের অবদান আছে। আজকে দেশের স্বাধীনতা একটি ব্যক্তি, একটি পরিবার, গোষ্ঠী ও একটি দলের হাতে। যেন তারা মূলধন পেয়েছে। এটাকে তারা নিজেদের মূলধন করে ফেলেছে।

তিনি রবিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে পাঁচলাইশস্থ শায়লা স্কয়ারে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সন্মাননা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এবং ডা. শামীম আল মামুন ও ডা. ঈসা চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সংবর্ধিত অতিথি বিএনপির উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ফজলুল হক, ডা. মো. গোফরানুল হক, একরামুল করিম, ডা. জাহিদ হোসেন শরীফ, এড. মফিজুল হক ভুঁইয়া, কমান্ডার শাহাবুদ্দিন ও মো. হারুনুর রশিদকে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

আমীর খসরু বলেন, কোনো জায়গায় কোনো নেতৃত্বে এমনকি স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন জাতির পিতা বা ফাউন্ডার ফাদার অথবা কোনো একজনের ব্যক্তিত্বে স্বাধীনতা আসেনি। এটা যদি করা হয়ে থাকে অর্থাৎ একজনকে সামনে রেখে সমস্ত স্বাধীনতার যুদ্ধ তাহলে এটা কিন্তু মনোপলি হয়। যখন স্বাধীনতা মনোপলি হবে তখন এটা ক্ষতিকর জিনিস। বাজার যেরকম একচেটিয়া হলে ক্ষতিকর হয়, খদ্দেররা ক্ষতিগ্রস্থ হয় ,মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারেও মনোপলি করতে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে।

জিয়াউর রহমান দেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আমির খসরু বলেন, আমি যা বলেছি এসব তাজউদ্দীনের মেয়ের বইতে লেখা আছে। যে ফাদার অফ দ্যা নেশন ঠিক আছে, আমেরিকায় তো ফাদার অফ নেশন আছে, ফাউন্ডিং ফাদারও আছে। যে লোকগুলোর কথা আমি বলেছি এর বাইরেও অনেকেই আছেন। যাদের নাম ফাউন্ডিং ফাদার হিসেবে আমাদেরকে স্বীকৃতি দিতে হবে। তারা সবাই ফাউন্ডিং ফাদার্স। কারো ভূমিকা কম নয়। একেকজনের ভূমিকা একেক দিকে। জিয়াউর রহমানের ভূমিকা হচ্ছে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি দেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা। উনি কি ফাউন্ডিং ফাদার হতে পারেন না?

আমীর খসরু বলেন, জেনারেল ওসমানি সাহেব মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন । উনি কি ফাউন্ডিং ফাদার হতে পারেন না? তাজউদ্দিন সাহেব স্বাধীনতাকালীন মন্ত্রীসভার নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি কি ফাউন্ডিং ফাদার হতে পারেন না। মুক্তিযুদ্ধ ইনক্লুসিভ বিষয়। এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হতে পারে না। এটি সমস্ত জাতির গর্ব। এই মূলধন সমস্ত জাতির মূলধন। এ গর্ব সমস্ত জাতির গর্ব। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এসব বিষয় দেখা হবে। যারা প্রাণ দিয়েছেন প্রত্যেকের নাম বাংলাদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে প্রফেসর ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে আমরা লড়াই করছি গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের রক্ষার জন্য। অর্থনৈতিক যে বৈষম্য যেটা ৭১ এ ছিল সেটা এখন আরো বেশী হয়েছে। মানবাধিকার ও মানুষের মুক্তির যে লড়াই সেটা অব্যহত আছে। কাজেই আমাদের আজ শপথ নিতে হবে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এক হয়ে শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে হবে।

এস এম ফজলুল হক বলেন, স্বাধীনতা কোন পণ্য নয়। স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে অনেক কথা থাকতে পারে। কিন্তু যে গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতা, সে গণতন্ত্র ছাড়া দেশের মানুষ ভাবতে পারেনা।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং জিয়াউর রহমানের নাম সমার্থক। মুক্তিকামী জনতা সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা আশা করেছিল রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে। কিন্তু তাদের ব্যর্থতার কারণে সেদিন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সরকার মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, এই চট্টগ্রাম থেকে শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই সত্যটিকে ইতিহাস থেকে মুছে দেয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছে সরকার। আওয়ামী লীগ সব সময় মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।

জাহিদুল করিম কচি বলেন, আজ দেশে সুশাসন নেই। এ থেকে উদ্ধারের জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিকল্প নেই।

ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী বলেন, সরকার মানুষের সমস্ত মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। তাই এই সরকারকে পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সভায় অন্যান্নোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, বার কাউন্সিলের সদস্য এড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার, চবি অধ্যাপক এস এম নছরুল কদির, চমেক ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, আইনজীবি সমিতির সভাপতি এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, সাবেক সভাপতি এড: এনামুল হক, জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহ নওয়াজ, এ্যাবের ইঞ্জি. সেলিম মো. জানে আলম, রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. ওসমান প্রমুখ।

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।